এছাড়া কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় পানি এসেছে। বুধবার দুপুরের দিকে জেলার হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর, নিঝুম দ্বীপ ও সোনাদিয়া ইউনিয়নে এই ক্ষয়ক্ষতির খবর জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ উদ্দিন বলেন, “আমার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও ভেতরে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। তবে লোকজনকে আগেই সরিয়ে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”
তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন বলেন, তার ইউনিয়নে অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকলয়ে পানি ঢুকেছে। এতে অনেক বাড়িঘর ও রাস্তঘাট তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামও তার ইউনিয়নে ‘অস্বাভাবিক জোয়ারে’ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর দিয়েছেন।
কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেলা ৩টার পর থেকে জোয়ারের পানি নামতে শুরু করে।”
নদী-তীরবর্তী বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।