ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে আম্পানের অপেক্ষায় উপকূলবাসী

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান স্থলভাগে প্রবেশের আগেই উপকূল এলাকায় বৈরী হয়ে উঠেছে; শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি; উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর ও নদ-নদী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2020, 12:04 PM
Updated : 20 May 2020, 12:11 PM

ঝড়ের সময় উপকূলীয় জেলার দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলা হলেও, বুধবার সকাল থেকেই কোথাও কোথাও নদ-নদীতে দেখা গেছে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ-ছয় ফুট বেশি পানি।

গোমড়ামুখো আকাশের নিচে ঝড়ো হাওয়ার মধ্যেই উপকূল অঞ্চলের জেলায় জেলায় জান-মাল রক্ষায় নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

সাতক্ষীরা

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি; উত্তাল হয়ে উঠেছে সব নদ-নদী।

এদিকে ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাধ ঝুকিপূর্ণ থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে এলাকাবাসী। তবে জানমাল রক্ষায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। দুই লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যেই উঠেছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।

জেলা আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে জেলার সব নদ-নদী  উত্তাল হয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট পানি বেড়েছে ইতোমধ্যেই। যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া।

আবহাওয়া কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম মধ্য বঙ্গপোসাগর থেকে উৎপন্ন হয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান বর্তমানে সাতক্ষীরা উপকূল থেকে প্রায় পৌনে ৩০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সুন্দর বন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। সে সময় ঝড়টির গতিবেগ ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার থাকতে পারে প্রতি ঘণ্টায়। ধারণা করা হচ্ছে একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতও হবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত আর বাতাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বেলে তিনি জানান।

তবে জানমাল রক্ষায় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, উপকূলীয় এলাকার ১৮৪৫টি কেন্দ্রে দুই লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়া ২৩ হাজার ৪৯০টি গৃহপালিত প্রাণীকেও নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। আর জরুরি প্রয়োজনে ১০৩টি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।

এ জন্য কাজ করছেন পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা।

জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এই ঝড় আসায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টার পাশাপাশি পর্যাপ্ত মাস্ক ও গামছা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জীর্ণ অবস্থায় থাকায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ওই ৪৩টি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ডাম্পিং করে মেরামতে করেছে। ক্ষতি হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্গতদের জন্য ২৫০ মেট্রিকটন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। সব ঠিকমত সামাল দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাগেরহাট

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে; এতে ঝুঁকিতে পড়েছে বিভিন্ন বেড়িবাঁধ।

বাঁধ ভেঙে বা উপচে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চাষিদের খামারের মাছ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া আম্পানের ভয়ে মোংলা বন্দর ও জেলার অন্যান্য প্রায় সর্বত্র জনজীবন থমকে গেছে।

জেলার শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, বুধবার সকালে বলেশ্বর নদে জোয়ারে পানির চাপে রায়েন্দা বাজারের ২০০ মিটার বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি।

“এই নদীতে পানির চাপ আরও বাড়লে বাঁধ ভেঙে ও উপচে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছি। আশঙ্কা সত্যি হলে মাছ চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডও।

বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ জামান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আম্পানের প্রভাবে জেলার প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ-ছয় ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে তাতে শরণখোলা উপজেলার ৩৫/১ পোল্ডারে বলেশ্বর নদের গাবতলা থেকে বগি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পানির যে চাপ দেখা যাচ্ছে, এটা যদি বাড়তে থাকে তাহলে বাঁধ ভেঙে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

এ বছর এ জেলায় ৭৮ হাজার ১০০ ঘের্ চিংড়ি চাষ হচ্ছে বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালেদ কনক জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে চিংড়ি উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৪৮ মেট্রিকটন। জেলার নদ-নদীতে পানির চাপ বেড়েছে। জেলার মাছের ঘেরগুলো অধিকাংশই নদী এলাকায়। জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে পানি ঢুকে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন হলে মাছ যাতে বের হতে না পারে সেজন্য ঘেরের চারপাশে জাল দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য মাইকিং করা হয়েছে।

এদিকে আম্পানের কারণে মোংলা বন্দর থমকে গেছে।

বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন বলেন, আম্পানের পূর্বাভাস পাওয়ার পর রোববার বিকেল থেকে জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্দরে এখন পণ্যবাহী দেশি-বিদেশি ১১টি জাহাজ রয়েছে। বন্দরের নিজস্ব আধুনিক জেটিতে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে জাহাজগুলো। ঝড়ের আঘাতে জান-মালের ক্ষতি ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

১৬ মে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া আম্পান ধাপে ধাপে শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনের রূপ পায়। তবে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার পথে কিছুটা শক্তি হারিয়ে এটি এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে রয়েছে।

গোপালগঞ্জ

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে গোপালগঞ্জে বুধবার সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। এ জেলায় সন্ধ্যায় ঘণ্টায়য় ১০০’ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে আম্পান আঘাত হানতে পারে বলে জেলা আবহাওয়া দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সারারাত বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে। ঝড়ে গাছাপালা, কাঁচা ঘরবাড়ি ও বিদ্যুতের ঘুঁটি বিধ্বস্ত হতে পারে।  ক্ষেতের উঠতি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।

তিনি বলেন, ঝড় মোকাবেলায় ১৫৪ টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচ উপজেলার সব কয়টিতে একটি করে মেডিকেল টিম ও স্বোচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলাব্যাপী মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে। সরকারিভাবে ১০০ মেট্রিকটন চাল ও চার লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এ জেলার জন্য।

ফরিদপুর

এ জেলায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। পদ্মাবেষ্টিত সদর উপজেলা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় ঝড়ের বেগ বেশি থাকার আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। এসব উপজেলায় কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিংও করা হচ্ছে। নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের নৌ চলাচল।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলায় সব মিলিয়ে ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে শুকনো খাবার তৈরি করে আশ্রয়কেন্দ্রে সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রেজা বলেন, নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নে চারটি আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  চর এলাকার সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। আপৎকালের জন্য চিঁড়া, মুড়ি ও গুড় মজুদ করা হয়েছে।

ফরিদপুরে এ মৌসুমে ২৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে যার ৫০ শতাংশ এখনও কাটা হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, এসব পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সাড়ে ৬০০ একর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। কলা ও লিচুগাছে শক্ত বাঁশ দিয়ে টেকিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। ঝড়ে পাটের তেমন ক্ষতি হবে না।

চাঁদপুর

আম্পান মোকাবিলায় চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলের ১৮টি ইউনিয়নে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নদী-তীরবর্তী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে এখনও।

অতিরক্ত জেলা প্রশাসক এসএম জাকারিয়া জানান, এ জেলায় প্রায় ১৬০০ স্কুল-কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করার পাশাপাশি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যেই নদী-তীরবর্তী ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে আনসার ভিডিপসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। নদীতে চলাচলকারী বিভিন্ন নৌযান নিরাপদ স্থানে নৌঙর করা হয়েছে।

কক্সবাজার

জেলায় সকাল থেকে থেমে থেমে হালকা ও থেকে থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাগর উত্তাল হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ঢেউ ও পানির উচ্চতা বেড়েছে। ঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ৫৭৬টি সাইক্লোন সেন্টারে উপকূলী এলাকার ১২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মাঠে রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিমসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের।

ভোলা

আম্পানের প্রভাবে  ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়েছে কয়েক ফুট। অতিরিক্ত জোয়ারে জেলার নিম্নাঞ্চল কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুরো জেলায় দমকা বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, জেলার বিচ্ছিন্ন ২১টি চরের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জেলার মূল ভূখণ্ডের সাধারণ মানুষও আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে। জেলার ১১০৪টি সাইক্লোন সেল্টার খোলা রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সবার জন্য  খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে সবাইকে সহায়তা করছে। একই সঙ্গে সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়া সবার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টাও চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।