সাতক্ষীরায় বইছে দমকা হাওয়া, উত্তাল নদী

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি; উত্তাল হয়ে উঠেছে সব নদ-নদী।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি.বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2020, 08:57 AM
Updated : 20 May 2020, 10:24 AM

এদিকে ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাধ ঝুকিপূর্ণ থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে এলাকাবাসী। তবে জানমাল রক্ষায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। দুই লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যেই উঠেছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।

জেলা আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে জেলার সব নদ-নদী  উত্তাল হয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট পানি বেড়েছে ইতোমধ্যেই। যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া।

আবহাওয়া কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম মধ্য বঙ্গপোসাগর থেকে উৎপন্ন হয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান বর্তমানে সাতক্ষীরা উপকূল থেকে প্রায় পৌনে ৩০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সুন্দর বন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। সে সময় ঝড়টির গতিবেগ ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার থাকতে পারে প্রতি ঘণ্টায়। ধারণা করা হচ্ছে একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতও হবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত আর বাতাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বেলে তিনি জানান।

তবে জানমাল রক্ষায় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, উপকূলীয় এলাকার ১৮৪৫টি কেন্দ্রে দুই লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়া ২৩ হাজার ৪৯০টি গৃহপালিত প্রাণীকেও নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। আর জরুরি প্রয়োজনে ১০৩টি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।

এ জন্য কাজ করছেন পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা।

জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এই ঝড় আসায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টার পাশাপাশি পর্যাপ্ত মাস্ক ও গামছা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জীর্ণ অবস্থায় থাকায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ওই ৪৩টি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ডাম্পিং করে মেরামতে করেছে। ক্ষতি হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্গতদের জন্য ২৫০ মেট্রিকটন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। সব ঠিকমত সামাল দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।