বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৯৭৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ৯০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম।
কামরুল বলেন, “আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়াদের মধ্যে বয়স্ক নারী, পুরুষ, শিশু ও প্রতিবন্ধী লোকজন রয়েছেন। এসব দুর্গত মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে জেলায় প্রায় ১২ হাজার সেচ্ছাসেবক কাজ করছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে তারা।
স্থানীয় প্রশাসন ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আশ্রয়কেন্দ্রের এসব মানুষদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও মোমবাতি সরবরাহ করেছে। এছাড়া ১৩ হাজার গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
“বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, বাগেরহাটে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে করলা, ঝিঙে, ঢেড়সসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮০০ হেক্টরে পাট, ১১০০ হেক্টরে পান বরজ ও ৩৪৯ হেক্টরে আউশ ধানের বীজতলা রোপণ করা হয়েছে। আম্পানের প্রভাবে অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতা, জোয়ারের জলোচ্ছাস ও ঝড়ো বাতাসে এসব ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”