মঙ্গলবার হকার্স মার্কেট, রেললাইন মার্কেট, নিউ মার্কেট, জলেশ্বরীতলায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেকেই শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন। কিছু মার্কেটের বাইরে স্যানিটাইজার দেওয়া হলেও তা অনেকটা দায়সারা। এসব মার্কেটে মাস্ক ছাড়াই শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করছেন।
কাহালু উপজেলার মুরইল থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে এক নারী কেনাকাটা করতে এসছেন হকার্স মার্কেটে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাচ্চা নিজের পছন্দে কেনাকাটা করবে। তাই সঙ্গে নিয়ে এসেছি।”
করোনাভাইরাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি দ্রুত সরে পড়েন।
নিউ মার্কেটে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় ঠেলে কেনাকাকটা করছিলেন।
হকার্স মার্কেটেও দেখা গেছে, অনেকেই শিশুদের নিয়েই কেনাকাটা করছেন। এক মুরুব্বি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তার নাতিকে। মুরব্বির নাম জানতে চাইলে তিনি সেখান থেকে দ্রুত সরে পড়েন।
জলেশ্বরীতলায় শিশুসন্তান নিয়ে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন, “ভাই কেটে পড়েন। বিরক্ত করবেন না।”
গত ১০ মে সীমিত আকারে মার্কেট খোলার ঘোষণার পরদিন থেকে বগুড়ায় বিভিন্ন মার্কেটে কেনাকাটার প্রতিযোগিতা লেগে যায়। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছিলেন না। এ কারণে সব মার্কেট বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিলে আবার খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও মানা হচ্ছে না কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি।