মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এবং সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় রপ্তানিমুখী ফকির নিটওয়্যার নামে একটি পোশাক কারখানায় পরিদর্শনে যান।
সিভিল সার্জন বলেন, ওই কারখানায় ১০ শ্রমিকের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য পরিদর্শনে যান তারা।
“কিন্তু হঠাৎ করে শ্রমিকরা আমাদের লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। আমার গাড়ি ও জাহিদুল ইসলামের গাড়িতে হামলা হয়। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও জাহিদুল আটকা পড়েন।”
পরে পুলিশ গিয়ে জাহিদুলকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়ার পর জাহিদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস বিষয়ে সতর্ক করতে ওই কারখানা পরিদর্শনে যান তারা। প্রবেশের সময় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি তাদের জানায়নি।
“ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই কয়েক হাজার শ্রমিক হামলা চালায়। বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি আমরা জানতাম না। কারখানার ভেতর থেকে গাড়ি ঘোরানোরও সুযোগ ছিল না বলে আটকা পড়ি।”
পরে ওই কারখানায় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয় বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
তিনি বলেন, “বেতনের শতভাগ বোনাসের দাবিতে ওই কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সেখানে সিভিল সার্জন ও একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পরিদর্শনে গেলে শ্রমিকরা হামলা ও ভাংচুর চালায়। পুলিশ আটকা পড়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে।”
এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট তল্লা অঞ্চলের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, শ্রমিকরা বেসিকের সমপরিমাণ ঈদ বোনাসের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার বেসিকের অর্ধেক বোনাস দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হন। এ সময় তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দুটি গাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়েন। তবে শ্রমিকরা না বুঝেই এই কাজটি করেছেন।
এ বিষয়ে ফকির নিটওয়্যারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ) দেবাশীষ সাহার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।