সোমবার বিকালে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সুলতান উদ্দিন আহমেদের আদালতে আসামি এ জবানবন্দি দেয়।
নিহত সুবর্ণা সরকার (৯) উপজেলার চিলারাই গ্রামের ধনঞ্জয় সরকারের মেয়ে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
গ্রেপ্তার রিংকু সরকার (১৯) হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ওই গ্রামের হগেন্দ্র সরকারের ছেলে।
বানিয়াচং থানার ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় সুবর্ণা নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের দুইদিন পর প্রতিবেশী রিংকুর আচরণে সন্দেহ হলে ১৭ মে সন্ধ্যায় ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালামের নির্দেশে স্থানীয় লোকজন রিংকুকে আটক করে।
“তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বানিয়াচং থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রিংকুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।”
সোমবার দুপুরে নিহত শিশুর বাবা প্রভাত সরকার বাদী হয়ে আসামি রিংকু সরকারের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা করেন।
পরে পুলিশ আসামিকে আদালতে পাঠালে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায় আদালতে রিংকু বলেছেন, গত ১৫ মে শিশু সুবর্ণা সরকারকে রাত ৮টার সময় তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে ধানের খলায় ধর্ষণ করে। পরে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ একটি ডোবায় ফেলে দেয়।