কোভিড-১৯: গোপালগঞ্জ বিসিকে অর্ধেক বন্ধ অর্ধেক সচল

করোনাভাইরাসের অবরোধের মধ্যে জরুরি পরিষেবার আওতায় গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর অর্ধেকের বেশি কারখানা চালু রয়েছে। চালু থাকা এসব কারখানায় খাদ্যপণ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন চলছে।

মনোজ সাহা গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2020, 05:23 PM
Updated : 18 May 2020, 05:23 PM

উৎপাদিত এসব পণ্য গোপালগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ভোক্তাদের পাশাপাশি শিল্পদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা উপকৃত হচ্ছেন।

অপরদিকে, অর্ধেকের মতো কারখানা বন্ধ থাকা এসব শিল্পদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছেন।

বিসিক শিল্প মালিক সমিতি প্রণোদনা ও শ্রমিকদের জন্য রেশন চালুর দাবি জানিয়েছে।

গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শহরের বিসিক শিল্প নগরীতে ৬৪টি শিল্প ইউনিট রয়েছে। এসব কারখানায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। করোনাভাইরাসের অবরোধের মধ্যে জরুরি পরিষেবার আওতায় পড়া চালকল, মুড়ি মিল, বিস্কুট ও কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী ৩৪টি কারখানা চালু রয়েছে। আওতার বাইরে বাকি ৩০টি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বর্তমান চালু কারখানায় প্রতিদিন ২০ টন মুড়ি, ৫ টন চাল, ২ টন সরিষার তেল, ১০ টন পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, চানাচুরসহ বিভিন্ন বেকারি সামগ্রী, ৫ টন আটা, ময়দা, সুজি উৎপাদিত হচ্ছে।

“এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানায় বহু ধান মাড়াই কলসহ কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদিত হচ্ছে।”

স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে শ্রমিকরা এসব কারখানায় কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

মাসুদ রানা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে শিল্প নগরীতে উৎপাদন চলছে। মালিকদের সহযোগিতায় শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন। উদ্যোক্তারা উৎপাদিত খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি বাজারজাত করছেন।

একটি বিস্কুট কারখানার শ্রমিক ফেরদৌস শেখ বলেন, “এখানে কাজ করে পারিশ্রমিক পাচ্ছি। করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে এ দিয়ে ভালোভাবে সংসার চলছে।”

আরেকটি বন্ধ কারখানার বেকার শ্রমিক রহমত আলী বলেন, “করোনাভাইরাসের পর থেকে আমাদের কারখানা বন্ধ। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। মালিক যা দিচ্ছে তাতে চলতে পারছি না।”

গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আমরা খাদ্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদন করে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছি। বেশকিছু কারখানা বন্ধ থাকায় শিল্পদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা কষ্টে আছেন। আমাদের শিল্পে প্রণোদনা ও শ্রমিকদের জন্য রেশন চালু করার দাবি জানাচ্ছি। “মালিক ও শ্রমিক বাঁচলে আমরা উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে পারব।”

শিল্প মালিকদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে মাসুদ রানা জানিয়েছেন।