রাঙামাটিতে বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ড, জেএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় একটি বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য পাহাড়িদের একটি সংগঠনকে দায়ী করেছে।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2020, 09:58 AM
Updated : 18 May 2020, 11:43 AM

সোমবার রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিলাইছড়ির ধুপশীলে অবস্থিত ‘ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’-এর প্রতিষ্ঠাতা এফ দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তে)।

গত শুক্রবার [১৫ মে] রাতে ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে আগুনে ধর্মীয় গ্রন্থসহ মূল্যবান মালামাল পুড়ে যায় বলে এই ধর্মগুরু জানান।

সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) লোকজন এই বিহারে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে দীপংকর মহাথের অভিযোগ করেন।

তবে সংগঠনটি আগেই এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দীপংকর মহাথের বলেন, “জেএসএস বরাবরই আমার সেবকদের উপর হামলা, অপহরণসহ সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সবশেষ গত শুক্রবার [১৫ মে] রাতে বিহারে আগুন দিয়ে পবিত্র ত্রিপিটক, প্রচুর বুদ্ধমূর্তিসহ বিহারে রক্ষিত সবকিছুই ক্ষতিসাধন  করে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়।”

বিলাইছড়ির ধুপশীলে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এই কার্যকলাপ বৌদ্ধ ধর্মের শান্তিপূর্ণ প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি প্রশাসনের কাছে স্থানীয়দের নিরাপত্তাসহ সকল ধর্মের মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে স্ব-স্ব ধর্ম পালন করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ মহান্মম ভিক্ষু, শ্রীমৎ মোদিয় ভিক্ষু, শ্রীমৎ জ্ঞাতিমিত্র ভিকত্ষু ও শ্রীমৎ প্রজ্ঞামিত্র ভিক্ষু।

এ ব্যাপারে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিলোৎপল খীসার মোবাইল ফোনে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টির জন্য জেএসএসকে দায়ী করা হলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে রোববার একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়।

জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা পাঠানো এই বিবৃতিতে বলা হয়, “জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করা এবং সমিতির নেতাকর্মীসহ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বার্থবাদী মহল এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করছে।”

বিবৃতিতে জনসংহতি সমিতি এই ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়।