রোববার ভোররাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
মৃত ওই নারীর বাড়ি সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে।
এ নিয়ে সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মোট সাতজনের মৃত্যু হল।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত চার দিন আগে ওই নারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশেনে ভর্তি হন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, ওই নারী মেডিকেলে ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনও তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
“তার রিপোর্ট নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার বাড়ি লকডাউনসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নতুন ২৪ জন আক্রান্ত
এছাড়া, রোববার রাতে খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে এ জেলায় নতুন করে আরো ২৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর আসে বলে সিভিল সার্জনের অফিস থেকে বলা হয়েছে।
এ নিয়ে সাতক্ষীরায় মোট ২৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক মেডিকেল টেকনোশিয়ান।
ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, রোববার ৩৮৯টি নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট তাদের কার্যালয়ে এসে পৌছায়। এর মধ্যে ২৪টি পজেটিভ এসেছে।
“করেনানা পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে দেবহাটা উপজেলার ২৩ জন ও আশাশুনির উপজেলার একজন রয়েছেন।”
ডা. জয়ন্ত সরকার আরো জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরার পর একটি দলকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তাদের মধ্যে এই ২৪জনও ছিলেন। তবে শনাক্ত এই ২৪ জনের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়িতে চলে যান।
তারা বাড়ি চলে যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার এই ফলাফল হাতে পাওয়ায় তাদেরেকে রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান ডা. জয়ন্ত।