রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকবুল হোসাইনকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে মাকবুল হোসাইনকে জবাব দানের জন্য ১০ কার্যদিবসের সময় বেঁধে দেওয়াও হয়েছে।
এ বরখাস্তের খবর জানিয়ে ব্রাহ্মণবড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় সরকার বিভাগের এ সংক্রান্ত ই-মেইল পেয়েছি।
এ নিয়ে বিডিনিউজে ওএমএস-এর ‘ভিক্ষুক-দরিদ্র’ তালিকায় ধনাঢ্য আ.লীগ নেতার স্ত্রী-মেয়ে শিরোনামে খবর হয়।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের ওই তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইস্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. শাহ আলমের স্ত্রী, মেয়ে, ভাই, বোন, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী, ভাইপো, বোনের দেবরসহ ১৩ জনের কথা ওই খবরে বলা হয়েছিল। তবে প্রশাসন তদন্ত করে ওই নেতার অতিরিক্ত আরো দুইজন আত্মীয়কে খুঁজে পেয়েছে। ফলে তালিকায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার আত্মীয়-স্বজনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এর ১৩ মে আওয়ামী লীগ মো. শাহ আলমের সরকারি চাল বিতরণের ওএমএস-এর ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। আর রোববার বরখাস্ত হলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে-ওই নেতার স্বজনদের নাম ওএমএস-এর ভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগের প্রমান পাওয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকবুল হোসাইনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাকবুল হোসেইনের উদ্দেশে
একই সাথে, মাকবুল হোসাইনকে পৌরসভা আইনের ৩২ (২) বিধান অনুযায়ী কেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে জবাব দেবার নির্দেশ দেওয়াও হয়েছে।