ঠাকুরগাঁওয়ে বিপণীবিতান ফের বন্ধ

স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় ঠাকুরগাঁওয়ে বিপনীবিতান ও দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2020, 11:59 AM
Updated : 17 May 2020, 11:59 AM

রোববার দুপুরে জেলার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

ঈদের কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে বিপণীবিতান, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ দেয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতে গত ৭ মে ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্প ও বণিক সমিতি এবং জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সোসাইটি যৌথ সভায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ১০ মে সকাল থেকে ঠাকুরগাঁও শহরসহ পুরো জেলায় বিভিন্ন বিপনীবিতান ও দোকানপাটে সীমিত আকারে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়। ধীরে ধীরে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিপণীবিতানে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়।

জেলা প্রশাসক বলেন, রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্প ও বণিক সমিতি, ঠাকুরগাঁও জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সোসাইটির নেতাদের সঙ্গে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিভিল সার্জন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব মাহফুজার রহমান সরকার, জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম, জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মো. ফরিদউদ্দিন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আগামী সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব বিপণিবিতান ও দোকানপাটে ঈদের কাপড়, জুতা ও প্রসাধণী সামগ্রী কেনাকাটা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ঈদের কেনাকাটার জন্য বিপণীবিতানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শর্ত সাপেক্ষে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে জেলা শহর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো পর্যবেক্ষণ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শর্ত লঙ্ঘনের বিষয়টি নজরে পড়ে। এতে জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলে তিনি জানান।