চলে গেলেন সাংবাদিক ফখরে আলম

ক্যান্সারে আক্রান্ত যশোরের সাংবাদিক কবি ফখরে আলম মারা গেছেন।

যশোর প্রতিনিসধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2020, 07:00 AM
Updated : 14 May 2020, 01:06 PM

তিনি কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

কালের কণ্ঠের যশোর কার্যালয়ের আলোকচিত্রী ফিরোজ গাজী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ফখরে আলম বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সালাহউদ্দীন স্বপন মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান বলে চিকিৎসক সালাহউদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

সাংবাদিক ফখরে আলমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান।

ফখরে আলম যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় নিজের বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

মৃত্যুর আগে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন।

তার ছেলে ফাহমিদ বিজয় জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নামাজের পর যশোর জিলা স্কুল মাঠে জানাজা শেষে চাঁচড়ায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় মরদেহ যশোর প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো জন্য।

ফখরে আলমের ৩৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘রিপোর্টারের ডায়েরি’, ‘হাতের মুঠোয় সাংবাদিকতা’, ‘তুই কনেরে পাতাসী’, ‘খুলে ফেলি নক্ষত্রের ছিপি’, ‘অন্ধকার চুর্ণ করি’ প্রভৃতি।

এসব বইয়ে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ফখরে আলম ১৯৬১ সালের ২১ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শামসুল হুদা পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৮৫ সালে সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকার প্রতিবেদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন ফখরে আলম। এরপর দৈনিক আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকা, মানবজমিন, জনকণ্ঠ, আমাদের সময়, যায়যায়দিন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। সর্বশেষ তিনি কালের কন্ঠে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ফখরে আল সাংবাদিকতায় মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বজলুর রহমান স্মৃতি পদক, এফপিএবি পুরস্কার, মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার, টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।