করোনাভাইরাস: বিপাকে টঙ্গীবাড়ীর চিকিৎসা ব্যবস্থা

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ চার চিকিৎসক এবং ১১ জনের নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর চিকিৎসা সেবায় ধাক্কা লেগেছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2020, 05:16 PM
Updated : 13 May 2020, 05:16 PM

বুধবার দুপুরে ‘নিপসম’ একই দিনে কর্ণধার, চার চিকিৎসক, সেকমো ও নার্সসহ অন্যান্য কর্মীদের করোনাভাইরাস শনাক্তে খবরে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলা কমপ্লেক্সটির পাঁচ চিকিৎসকসহ মোট ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হল। এছাড়া এ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের করোনাভাইরাস শনাক্তদের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে গেছে।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সীমিতভাবে চালু রাখার চেষ্টা চলছে।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার বলেন, হাসপাতালটিতে এখন রোগীর যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। জরুরি চিকিৎসা পাশে কোনো স্কুলে করানো যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার পুরো হাসপাতালে জীবণুনাশক স্প্রে করে পরিচ্ছিন্ন করার হবে বলে জানান তিনি।

তবে এ জেলার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিয়ে আসা টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাসলিমা ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কার্যক্রম বন্ধ হবে না, চলবে। সাধ্য অনুযায়ী সব রকম প্রচেষ্টা চলবে।

মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এখন নিজ বাসায় আইসোলেশেনে থেকেই অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এখানে অন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন যাদের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে সবাই আইসোলেশনে আছেন।

“উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সীমিত আকারের চালু রাখার চেষ্টা চলছে।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিকে নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া এক বৃদ্ধ ও এক বৃদ্ধাকে টঙ্গীবাড়ীতে দাফন করা হয়। মৃত্যুর পর নেওয়া নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় তাদের।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংস্পর্শে যাওয়া এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে টঙ্গীবাড়ীতে আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান নেওয়াসহ নানা কারণে এ উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়তে দেখা যায়।

তারপরও জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে কম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল টঙ্গীবাড়ী উপজেলায়। এ উপজেলায় ১৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরমধ্যে চারজন এখন সুস্থ।