বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এরআগে মঙ্গলবার রাতে পাটগ্রাম থানার উপ-সহকারী কর্মকর্তা (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার শিক্ষক শরিফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের পলাশীতে। তবে পাটগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতার শুরু থেকেই পাটগ্রামে বাস করছেন তিনি।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, সরকারের প্রচলিত আইনকে অস্বীকার ও করোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অপপ্রচার করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছিলেন শিক্ষক শরিফুল।
“তাকে সতর্ক করার পরও তিনি উল্টো ধর্মান্ধ হয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বাজি ধরে ফের ফেইসবুকে স্টেটাস দিয়েছেন।”
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার পর তদন্ত শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কলেজের শিক্ষক গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে পাটগ্রাম আর্দশ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহ নূর উন নবী কামাল বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কোনো অপরাধ করে থাকে, তার দায় প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই নিতে পারে না।
পুলিশ ও মামালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মে শরিফুল ইসলাম তার ফেইসবুক আইডি থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে একটি বিতর্কিত স্টেটাস দেন।
ওই স্টেটাসে কোলাকুলি ও মোসাফা করা থেকে দূরে থাকা, তিন ফুট দূরত্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এসবকে কোরআন, ইসলাম ও ঈমানের উপর বড় আঘাত বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া, এ ভাইরাস প্রতিরোধে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবহার, বাসায় নিরাপদে থাকা ‘৯৯.৫০% ভুয়া’ বলে উল্লেখ করে দুই লাখ টাকা বাজি ধরেন তিনি।