মঙ্গলবার দুপুরে তারাছা ইউনিয়নে মংয়ু খুমী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে স্বজন ও এলাকাবাসী জানান।
আহত কোলং খুমী (১৬) রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র এবং এ উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের মংয়ু খুমী পাড়ার কিংনাং খুমীর ছেলে।
জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাড়ার বাসিন্দা সিংইয়ং খুমী জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্কুল ছুটি থাকায় ছেলেটি গ্রামের বাড়িতে ছিল। সকালে তার বাবা-মা এক টি জুমক্ষেতে কাজ করছিলেন। এদিকে জুমঘর তৈরির জন্য একটু দূরে বনের ভেতর সে বাঁশ কাটতে গেলে দুটি ভালুক তাকে আক্রমণ করে।
আহত কিশোরের উদ্ধৃতি দিয়ে সিংইয়ং খুমী বলেন, ভালুক দুটি প্রথমে তার সঙ্গে থাকা কুকুরকে কাবু করে ফেলে। এরপর তাকে আক্রমণ করে। সে অজ্ঞান হয়ে গেলে ভালুক দুটি চলে যায়।
“জ্ঞান ফিরলে এক প্রতিবেশীকে ফোন করে সে খবর দেয়। পরে পাড়াবাসীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।”
সিংইয়ং খুমী আরও বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে ভালুক দুটি স্বামী-স্ত্রী ছিল; দুটি বাচ্চা ছিল বলেও আহত ছেলেটি জানায়। বাচ্চা থাকার সময় তারা প্রচণ্ড রাগী এবং উত্তেজিত থাকে।”
আহত কিশোরের এক স্বজন লেলুং খুমী বলেন, তাকে উদ্ধার করে শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় মুরুং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নখের আঘাতে তার পিঠ ও বুকের বিভিন্ন জায়গা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। বিশেষ করে ডান চোখ ও অণ্ডকোষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।