সাতক্ষীরা থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার রাতে খুলনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেপ্তার এএসআই হাসান খান খুলনা শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের গোপাল চন্দ্র আমিন (৪০) নামে এক ব্যক্তি এএসআই হাসান খানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় গত ৭ মে মামলা করেন।
অন্য আসামি হলেন সাতক্ষীরা শহরের শেখ সাহেদ হাসান নামে এক ব্যক্তি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ৭ মে বেলা ১টার দিকে বাদী তার বান্ধবীকে নিয়ে বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। তারা জেলা শহরের বাঁকাল ইকোপার্কের সামনে পৌঁছালে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তাদের পথরোধ করা হয়। একপর্যায়ে বাদীকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর শুরু করেন এএসআই হাসান খান। এ সময় তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে সদর থানার সামনে গেলে বাদী লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে থানার ভেতর ঢুকে পড়েন। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দেওয়া হাসান খান ও তার সঙ্গী থানায় না ঢুকে বাদীর মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পথে তার বান্ধবীকে সদর উপজেলার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ মে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এএসআই হাসানের গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। আর সোমবার রাতে খুলনা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।