মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের দিয়ে তারা ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে প্রবেশ করেন বলে জানিয়েছেন বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ এসআই খন্দকার মাহমুদ।
গত ৪ এপ্রিল পাটবীজ নিয়ে বাংলাদেশে এসে আটকা পড়েন তারা। এক মাসের বেশি সময় তাদের বুড়িমারী স্থলবন্দরের দেয়াল ঘেরা চত্বরে ট্রাকে কাটাতে হয়।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ভারতের কোচবিহারের ডিএমের সঙ্গে কথা বলেছি।
“ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত এবং চ্যাড়াবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও দুদেশের সিএন্ডএফের সহযোগিতায় তারা তাদের দেশে ফিরে গেছেন।”
আটকা পড়ার পরপর ইজাহার তার স্ত্রীর পড়ে গিয়ে ‘কোমর ভাঙার’ খবর পান। তাকে চিকিৎসা করাতে তাদের একমাত্র ছেলে ‘ধার-দেনা করে অনেক দূরের হাসপাতালে’ নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছিল সে সময় ইজাহারকে।
গত ২২ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এতে আমদানি করা পাটবীজসহ ৬১টি ট্রাক আটকা পড়ে ভারতের স্থলবন্দরে। ১৪ দিন আটকা থাকার পর বিশেষ ব্যবস্থায় ৪ এপ্রিল ট্রাকগুলো বাংলাদেশে আনা হয়। কথা ছিল-‘পণ্য নামিয়ে দিয়ে ট্রাকগুলো ফিরে যাবে’। বাংলাদেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই দিনই ট্রাকগুলো খালি করে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু ফেরার সময় বাধা দেয় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরসহ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে চালকসহ ৬১টি ভারতীয় ট্রাক আটকা থাকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে।
সে সময় লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর আটকা পড়া এ চালকদের ফেরত যাওয়া ‘সেদেশের ওপর নির্ভর করছে’ বলে জানিয়েছিলেন।
এনিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কোভিড-১৯: ভারতের ৬১ ট্রাকচালক আটকে বুড়িমারী বন্দরে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।