এই অভিযোগে মঙ্গলবার মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান।
মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে সোমবার এ ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, এ বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সকালে রুহোল মেম্বার সমর্থিত নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে খাইরুল সমর্থকরা হামলা ও ভাংচুর করে। এরপর শনিবার সকালে খায়রুল সমর্থিত সিকান্দারের বাড়িতে রুহোল মেম্বার সমর্থিত লোকজন ভাংচুর করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
“এর জেরে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধলে এক পর্যায়ে হামলাকারীরা মায়ের কোল থেকে ৮ মাস বয়সী লামিয়াকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
“আহত লামিয়াকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
মঙ্গলবার লামিয়ার বাবা লালচাঁদ মোল্ল্যা বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, তিনি লামিয়া হত্যার অভিযোগে তার বাবার মামলা গ্রহণ করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত এটি হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু সেটা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মৃতদেহ মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।