সরকারি অনুমোদনের পর দিন শেরপুরে দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা

নতুন করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে এক মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর সরকার দোকান খোলার অনুমতি দিলেও শেরপুরের ব্যবসায়ীরা স্ব-উদ্যোগে তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2020, 05:21 PM
Updated : 11 May 2020, 05:21 PM

সোমবার বিকালে শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান রওশন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট ছাড়া সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

এর একদিন আগে রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত সাপেক্ষে দেশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমোদন দেয় সরকার।

সরকার অনুমোদন দিলেও রাজধানী ঢাকার নাম করা সুপার মলসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী নেতারা এর আগেই তাদের দোকানপাট না খোলা ঘোষণা দেন। অন্যদিকে দোকানপাট খোলার পরপরই বিভিন্ন জেলার মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ক্রেতাদের কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।

শেরপুরের মার্কেটগুলোতে রবি ও সোমবার দিনব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে কেনাবেচা করতে দেখা যায়। তারই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত আসল জেলার ব্যবসায়ী নেতাদের কাছ থেকে।

শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন সারা দেশের সব দোকানপাটসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত রোববার থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

কিন্তু ‘ওই শর্তগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালন করা সম্ভব নয়’ বিধায় জনগণের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের জরুরি বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতি সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানানো হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার থেকে শেরপুরের সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন এ চেম্বার নেতারা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা হয়, তবে ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান এ নির্দেশের আওতামুক্ত থাকবে।

সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ব্যবসায়ীকে বাড়িতে অবস্থান করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।