এই দাবিতে সোমবার জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে শতাধিক হোটেল শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন; পরে মিছিলসহ শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, পৌর এলাকার প্রায় এক হাজার শ্রমিক ৪৬ দিন ধরে কর্মহীন রয়েছেন। গত ৭ এপ্রিল মাত্র একশ শ্রমিককে সামান্য কিছু ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক শ্রমিককে ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস দিলেও আর কোনো ত্রাণ দেওয়া হয়নি।
এ অবস্থায় শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর দিন যাপন করছেন বলে স্মারকলিপিতে বলা হয়।
স্মারকলিপিতে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা নয়ত হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
“বর্তমানে আমরা চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছি। আসন্ন ঈদে শ্রমিকদের বেতন বোনাস ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দিতে হবে।”
এ সময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক আইনুল হকসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতারও উপস্থিত ছিলেন।