রোববার রাতে ঠিকাদার রাম বাবুর ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কৃষক দল নেতা শহিদুল ইসলামসহ তিন জনের নামে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আসামি শহিদুল ইসলাম শাসলা পিয়ালা গ্রামের আজির উদ্দীনের ছেলে এবং আউলিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
অপর দুই আসামি হলেন একই গ্রামের মুতাশাহার ছেলে সইদুল ইসলাম ও দবির উদ্দীনের ছেলে শামসুল আলম।
ঠিকাদার রাম বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আট মাস আগে সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শাসলা পিয়ালা গ্রামের মিলনপুর সড়কের দেড় কিলোমিটার ও সদরের সালন্দর ইউনিয়নের চৌধুরী হাট এলাকার রেডিও সেন্টারের সড়কে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজের টেন্ডার হয়। আর এতে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৮ লাখ ১২ হাজার ২৬৮ টাকা। টেন্ডার পাওয়ার পর দুটি রাস্তা পাকাকরণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ইট গাঁথুনি ও খোয়া ভাঙার কাজ চলছে।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২৫ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত শাসলা পিয়ালার মিলনপুর সড়কের দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজের জন্য সাড়ে ৫ লাখ ইট এনে রাস্তার পাশে রাখা হয়।
“এর মধ্যে ৪৮ হাজার ইট, ২৫০ সিএফটি পাথর, পাঁচটি প্লেনসিট ও বেশকিছু রড চুরি হয়ে যায়।”
রাম বাবু বলেন, রোববার বিকালে স্থানীয়দের সহায়তায় আউলিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের বাড়ির ভেতর থেকে ১২ হাজার ইট, ১৫০ সিএফটি পাথর, একটি প্লেটসিট, তিনটি রড উদ্ধার করা হয়।
ইট, পাথর, প্লেনসিট ও রড উদ্ধারের পর এই তিন আসামি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন বলে রাম বাবু জানান।
আউলিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইট-পাথর চুরির খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামে বাড়ি থেকে ইট, পাথর, প্লেনসিট ও রড উদ্ধার করা হচ্ছে। এছাড়াও আরও দুইজনের বাড়ি থেকে ইট উদ্ধার হয়।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এই তিন জনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইট-পাথরে চুরির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”