রোববার জেলা শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক, মেইনরোড়, খানজাহান আলী সড়ক ও কাপুড়েপট্টি এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এ দিন এসব এলাকার রাস্তায় ছিল মানুষ আর মানুষ। অনেক দোকানে সামাজিক দূরত্ব ‘না মেনেই’ বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানের ছিল না হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারের দেওয়া শর্ত মেনেই তারা দোকান খুলেছেন এবং বেচাকেনা করছেন।
পাশাপাশি ক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের আপডেট প্যাশনের মালিক আব্দুলাহ আল ইমিরান বলেন, “যতটা সম্ভব স্বাস্থবিধি মেনে কেনাবেচা করছি। তারপরও ভিড়ের কারণে পুরোপুরি মানা সম্ভব হয়না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন বলেন, “সরকারের সব শর্ত মেনে দোকান খোলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সেভাবেই পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। কোনো ব্যাবসায়ী নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে।”
সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটা করতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সামনে ঈদ, নতুন জামা কাপড়ের জন্য বাচ্চা কান্না করছে। তাই পরিবারের মন রক্ষা করতে এখানে এসেছি।”
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন,“সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দোকান মালিকদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। দোকানগুলোতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করা ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।”
তবে দোকানপাট খুলে দেওয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করচ্ছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, গত দেড় মাসে বাগেরহাট জেলায় শিশুসহ তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু জেলায় এখন সব ধরনের দোকানপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে দোকানপাট ও রাস্তায় মানুষের ভিড় বাড়বে; ফলে সংক্রমণও বাড়বে।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে গত ২৬ মার্চ থেকে বাগেরহাট জেলার দোকান মালিকরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে। এ সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও ওষুধের দোকান খোলা রাখা হয়।