শনিবার বিকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
এ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোশারফ হোসেন জানান, সপ্তাহে ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে শনি, সোম ও বুধবার দুপুর ১টায় এবং ঢাকা থেকে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ছাড়বে।
“এ ট্রেনটিতে পণ্য ছাড়া কোনো যাত্রী পরিবহন করা হবে না।”
আন্তঃনগর ট্রেন যেসব স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে সেসব স্টেশনেই এ ট্রেন বিরতি দিয়ে পণ্য নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রথম দিন ব্যবসায়ীরা পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় টমেটো ও শুকনা মরিচ পাঠাচ্ছেন। যাত্রাপথে অন্য স্টেশনগুলো থেকেও বিভিন্ন পণ্য নেওয়া হবে।
“৪৩ টন ধারণ ক্ষমতার ৫টি বগিতে নিয়মিত পণ্য পরিবহন করা হবে। পণ্য বুকিং সাপেক্ষে এটা কম বেশি হতে পারে।”
তবে, পুরোপুরি পণ্য লোড না হওয়ায় কী পরিমাণে পণ্য আজ যাচ্ছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
উদ্বোধনের সময় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সবসময় নির্দেশনা ছিল কৃষকের উৎপাদিত পণ্য যাতে বাজারজাত হয় ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয়। তারই আলোকে কয়েকটি রুটে পার্সেল ট্রেন চালু করা হয়েছে। একই কারণে আজ পঞ্চগড় থেকে পার্শেল ট্রেন উদ্বোধন করা হল।
প্রথম দিনে পণ্য পরিবহনে কোনো ভাড়া নেওয়া হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভাড়া কমানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবিটি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাতে ট্রাক বা অন্য যানবাহনের তুলনায় ট্রেনে পণ্য পরিবহনের ভাড়া কম হয় সেটা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গণপরিবহন ও যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু পণ্যবাহী ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।
“এখন থেকে আমরা টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সব কিছু এ স্পেশাল পার্সেল ট্রেনে পরিবহণের ব্যবস্থা নিয়েছি। যাতে দেশের কোথাও নিত্যপণ্যের সঙ্কট না হয়।”
শাক-সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের জন্য অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যান আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসব ভ্যানে মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ পঁচনশীল পণ্য পরিবহন করা যাবে।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।