শিমুলিয়ায় ঢাকামুখী ভিড় বাড়ছেই

ঈদের উৎসবের মত ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে। পরিবার-পরিজন নিয়ে যেন দীর্ঘদিনের ছুটি শেষে তারা ফিরছেন কর্মস্থলে।

ফারহানামির্জা, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2020, 09:45 AM
Updated : 8 May 2020, 09:45 AM

করোনাভাইরাস মহামারী আতঙ্কের মধ্যে গত ২৬ মার্চ সরকার প্রায় সবকিছু বন্ধু ঘোষণা করলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষের চলাচলের এই পথে ভিড় শুরু হয়। সমালোচনার মুখে সরকার সে সময় জরুরি প্রয়োজনের জন্য একটি বাদে সব ফেরি বন্ধ করে দেয়।

প্রায় তিন সপ্তাহ পরে সরকারি-বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান আবার খুলে গেলে এই পথে পাঁচটা ফেরিও চালু করা হয়। সেই থেকে দৈনিক এখানে ভিড় যেন ক্রমেই বেশি করে বেড়ে চলেছে, যেখানে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার এখন পর্যন্ত সেরা উপায় হল পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।

শুক্রবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ আসছেন ফেরিতে করে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ফেরিতে দাঁড়িয়ে পার হচ্ছেন প্রমত্তা পদ্মা। এমনকি ফেরির দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিড়িতে দাঁড়িয়েও পার হন তারা। ঘাটে ফেরি ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার তারা কে কার আগে নামবেন সে প্রতিযোগিতাও শুরু হয়। একজনের ওপর দিয়ে লাফিয়ে আরেকজন চলতে শুরু করেন।
তবে বাস এখনও চালু হয়নি। বাস না পেয়ে এসব যাত্রী নসিমন-করিমন, অটোরিকশা, টেম্পো, ট্যাক্সি, মোটরসাইকেলে করে রওনা হন ঢাকা, নারায়ণরগঞ্জ ও গাজীপুরের পথে।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে তারা এখন আর করোনাভাইরাসকে ভয় পাচ্ছে না। টাকা-পয়সা কমে যাওয়ায় বা না থাকায় তারা এখন কাজকর্মে যোগ দিতে চাচ্ছেন হয়ত। তাই ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন আসছেন তারা। তারা এমন গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠেন যে তিল ধারণের জায়গা থাকে না।”

মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই হিলাল উদ্দিন বলেন, “সকালে ঈদের উৎসবের মত মানুষের ঢল ছিল ঢাকামুখী। করোনাভাইরাস বলে কিছু আছে এমনটি যেন তাদের মনেই নেই। তাই তারা একে অন্যের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করে প্রতিযোগিতা করেন গাড়িতে উঠতে।

“সকালে ঢাকামুখী লোকজনের এতই চাপ ছিল যে, আমরা গাড়িগুলোকে পাকিং ইয়ার্ড ও রাস্তার বাইরে পাশের নৌপুলিশের অফিসের মাঠে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হই। সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। প্রতিটি ফেরিতে মানুষ গাদাগাদি করে পার হচ্ছে।”