করোনাভাইরাস মহামারী আতঙ্কের মধ্যে গত ২৬ মার্চ সরকার প্রায় সবকিছু বন্ধু ঘোষণা করলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষের চলাচলের এই পথে ভিড় শুরু হয়। সমালোচনার মুখে সরকার সে সময় জরুরি প্রয়োজনের জন্য একটি বাদে সব ফেরি বন্ধ করে দেয়।
প্রায় তিন সপ্তাহ পরে সরকারি-বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান আবার খুলে গেলে এই পথে পাঁচটা ফেরিও চালু করা হয়। সেই থেকে দৈনিক এখানে ভিড় যেন ক্রমেই বেশি করে বেড়ে চলেছে, যেখানে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার এখন পর্যন্ত সেরা উপায় হল পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে তারা এখন আর করোনাভাইরাসকে ভয় পাচ্ছে না। টাকা-পয়সা কমে যাওয়ায় বা না থাকায় তারা এখন কাজকর্মে যোগ দিতে চাচ্ছেন হয়ত। তাই ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন আসছেন তারা। তারা এমন গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠেন যে তিল ধারণের জায়গা থাকে না।”
“সকালে ঢাকামুখী লোকজনের এতই চাপ ছিল যে, আমরা গাড়িগুলোকে পাকিং ইয়ার্ড ও রাস্তার বাইরে পাশের নৌপুলিশের অফিসের মাঠে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হই। সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। প্রতিটি ফেরিতে মানুষ গাদাগাদি করে পার হচ্ছে।”