শুক্রবার সকালে জাজিরা উপজেলার আরব আলী মাদবর কান্দি গ্রাম থেকে মাহমুদা বেগমের (২৩) লাশ উদ্ধার করা হয়।
মাহমুদা একই উপজেলার পার্শ্ববতী বড়কান্দি ইউনিয়নের আরব আলী মাদবর কান্দি গ্রামের জসিম মাদবরের স্ত্রী।
নিহতের বোন জামাই বাবুল কোতোয়াল বলেন, চার বছর আগে মাহমুদার সঙ্গে মোটর সাইকেল চালক জসিমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে মাহিম নামে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের দুই বছর পর মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় জসিমের পা ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে জসিম যৌতুকের জন্য মাহমুদাকে চাপ দিতে শুরু করে। কিন্ত মাহমুদা টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়।
“এর জেরে জসিম বুধবার সকালে মাহমুদাকে মারধর করে। পরদির রাতে আবার তাদের মধ্যে যৌতুক নিয়ে ঝগড়া হয়। সেদিন রাত ১টার দিকে মাহমুদার শ্বশুর বাড়ি থেকে তার বড় ভাই সোহেল মিযার মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, মাহমুদা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজনেরা গিয়ে মাহমুদার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।”
নিহতের বড়ভাই সোহেল মিয়া বলেন, “আমার বোনকে তার স্বামী যৌতুকের জন্য হত্যা করে গাছের সাথে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
জাজিরা থানার এসআই মো. শওকত হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।