বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপায় ‘অন্তিম নিটিং ডাইং এন্ড কমপোজিট’ কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করে। এর আগে মঙ্গলবারও তারা বিক্ষোভে নেমেছিল।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে অবরোধ করলে দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় উভয় দিকে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ এবং ইউএনও গিয়ে ‘শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।’ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ মাসের বেতন না দিয়ে গার্মেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর এপ্রিল মাসও চলে যায়। সরকারি নিদের্শ থাকার পরও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের গত দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মালিকপক্ষ মজুরি পরিশোধের ফের আশ্বাস দেওয়ার পর সেদিনের বিক্ষোভ থামায় শ্রমিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিকরা গার্মেন্টের সামনে অবস্থান নেয়। কারখানায় ভাংচুর চালানোর সময় এর উৎপাদন ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলামকেও পিটুনি দেয় বলে খবর রয়েছে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, “গার্মেন্টের শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে সেখানে শিল্প পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শ্রমিকদের বহু চেষ্টা করে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে।
মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি আরো জানান।
মালিকপক্ষকে উদ্ধৃত করে ওসি মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মধ্যেই বিকাশের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে অন্তিম নিটিং ডাইং এন্ড কমপোজিট গার্মেন্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের মোবাইলফোনে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ধরেননি তিনি।