বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পান্তলা এলাকায় নাইতং পাহাড় থেকে এই গুলি চালানো হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা জানান, সকাল ১০টায় একদল পাড়াবাসী নিখোঁজদের সন্ধানে বের হয়েছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে সেখান থেকে ফোন করে জানান তারা।
নিখোঁজদের স্বজনরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার কৈক্ষ্যংঝিরি এলাকা থেকে তিন জন যাত্রী নিয়ে রিঝুক ঝরনার পাশে একটি পাড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন পাইন্দু ইউনিয়নের তংবক পাড়ার বাসিন্দা দুই নৌচালক থুইনুমং মারমা (৩৬) ও অংথুইচিং মারমা (৩৮)।
কিছু সময় পর তারা ফোনে জানান যাত্রীদের নামিয়ে দিযেছেন; চা খেয়ে পিরে আসবেন। কিন্তু এরপর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
পাড়াবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, কয়েকটি নৌকায় ৪০ জন পাড়াবাসী নিখোঁজদের খোঁজে রিজুক ঝরনার উপরে দিকে যাচ্ছিলেন। সাড়ে ১১টার দিকে পান্তলা এলাকায় পৌঁছলে নাইতং পাহাড় থেকে তাদের লক্ষ্য করে ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তখন তারা আতঙ্কিত হয়ে ফিরে আসেন।
“তবে হতাহতের কোনো খবর পাইনি; সন্ধানকারীরা এলাকায় ফিরলে বিস্তারিত জানতে পারব।”
মংসিংনু মারমা নামে অনুসন্ধানকারী দলের এক পাড়াবাসী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের তিন নৌকার মধ্যে প্রথমটিকে লক্ষ্য করে নাইতং পাহাড় থেকে পাঁচ জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক গুলি চালায়।
“এরপর আমরা যে যার মতো পালিয়ে আসি। তবে পনেরো জন এখনও এলাকায় পৌঁছেনি।”
নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আসছিলেন। এর পাশাপাশি নিখোঁজ যুবকদের স্বজন ও পাড়াবাসীরাও সম্ভাব্য এলাকায় সন্ধান চালানোর সময় গুলি বর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে রুমা থানার ওসি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, “নিখোঁজদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও অভিযান চালাচ্ছে। তবে সন্ধানকারী পাড়াবাসীদের উপর আজকে গুলি বর্ষণের ঘটনা জানা নেই। এখন জানার পর খবর নেব।”