নীলফামারীতে এক পরিবারের তিন জনসহ আক্রান্ত ৬

নীলফামারীতে এক পরিবারের তিন জনসহ আরও ছয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৩৩।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2020, 11:55 AM
Updated : 6 May 2020, 11:55 AM

মঙ্গলবার রাতে এ খবর নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন।

নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদরে উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের ৩৩ বছর বয়সী নারী স্বাস্থ্য সহকারী, তার ৯ বছর বয়সী মেয়ে এবং ৩৫ বছর বয়সী ননদ।

এর আগে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আক্রান্ত হন করোনাভাইরাসে। তিনি ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখায় কর্মরত।

আক্রান্ত অপর তিনজন হলেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৬ বছর বসয়ী সেবিকা এবং সৈয়দপুরে ইসলামী ব্যাংকের ৩৪ ও ২৮ বছর বয়সী দুই কর্মকর্তা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত রোববার ওই ছয় জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

“মঙ্গলবার রাতে তাদের ফলাফলে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।”

নীলফামারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেবুল হোসেন জানান, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এক নারী স্বাস্থ্য সহকারী, তার শিশু কন্যা এবং ননদের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্ত তিনজনকেই বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সারোয়ার আলম জানান, এই হাসপাতালের আক্রান্ত এই নার্সের তেমন কোনো উপসর্গ ছিল না। তবে নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলিমুর বাশার বলেন, ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখার দুই কর্মীর নমুনা গত ৩ মে সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে তাদের ফলাফল পজিটিভ আসে।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, গত ৭ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ২৮ দিনে ছয়শত ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে জেলায় মোট ৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৫ মে পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।