পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারি জানান, উপজেলার কঁচা ও বলেশ্বর নদীর হরিণপালা-তুষখালি মোহনা সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার এ ঘটনার পর জেলেদের লক্ষ্য করে গুলি করে কোস্টগার্ড।
তবে উপজেলার তেলিখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামসুদ্দিন হাওলাদারের ভাষ্য,
এ ঘটনায় তিন জেলে গুলিবিদ্ধ ও চার জেলে আহত হন।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন- মো. মোতালেব (৫৫) হাজেরা বেগম (৬০) ও শাহিন (২৫)।
আহতরা হলেন- জসিম (২৪), সাদ্দাম (২৫), তহমিনা (৪৫), শাহনাজ (২০), সেলিম (২২), হেলাল (১৮) ও হেলাল (৩৫) হয়।
আহদের মধ্যে হাজেরা বেগমকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মোতালেব ও শাহিনকে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
ঘটনার বর্ণনায় মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারি বলেন, “বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খাইরুল ইসলাম চৌধুরকে নিয়ে জাটকা ও ছোট পোনামাছ নিধন বিরোধী অভিযানে যায় টাস্কফোর্স। পরে টাস্কফোর্সের সদস্যরা জাটকা ও ছোট মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের জাল আটক করে। ওই জাল নিয়ে ফেরার সময় হরিনপালা ও তুষখালী খালের মোহনায় জেলেরা জাল লুকানোর সময় কোস্টগার্ড তাদের আটকের চেষ্টা করে।
এ সময় প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার কারেন্ট জাল, বাধা জাল ও বেরা জাল
জব্দ করা হয়। পরে ওই সব জাল নদির চরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে জানান এ মৎস কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। জেলেরা অভিযানে অংশ নেওয়া লোকজনের উপর হামলা চালালে কোস্ট গার্ড হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি চালায়।
“তবে এতে কেউ আহত বা নিহত হওয়ার খবর আমাদের কাছে নেই।”
ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি চাইনিজ রাইফেলের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তেলিখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. নুর আমিন বলেন , “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”