সোমবার সকালে মাওয়া অংশে ১৯ ও ২০তম পিয়ারের ওপর ৪এ নম্বর স্প্যানটি বসানো হয় বলে সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ১৫০ মিটার দীর্ঘ ৩১৪০ মেট্রিকটন ওজনের স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্বপ্নের এই সেতু অগ্রগতির আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
“দুই পিয়ারের ওপর যখন স্প্যানটি ঠিকমত সেট হয়ে যায়, তখন ঘড়ির কাঁটায় পৌনে ১১টা। করোনাভাইরাস দুর্যোগে চারদিক তখন প্রায় স্তব্ধ। এরই মধ্যে গ্রীষ্মের রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকালে স্প্যান উঠে যাওয়ার ক্ষণটি ছিল আকর্ষণীয়।”
পদ্মা আগমনী বর্ষার পানিতে টলমল করছে। চারদিকে প্রকৃতিতেও সতেজতা। এরই মাঝে বিশালকায় ভারি ভারি যন্ত্রপাতির সমাবেশ আর শব্দহীন বিশেষ এক ছন্দে বিশাল স্প্যানটি বসে যায়। মাওয়া ঘাট থেকেই এই দৃশ্য দেখা গেছে।
প্রকৌশলী কাদের বলেন, এর আগে রোববার সকাল ৮টার দিকে স্প্যানটি মাওয়ার কাছে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে করে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকাল ৭টা থেকেই স্প্যানটি পিয়ারের ওপর বসানোর কাজ শুরু হয়।
“মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখানে বাদ সাধতে পারেনি। এই মহামারীর মধ্যেই মার্চে সেতুর ২৭তম স্প্যান ও এপ্রিলে ২৮তম স্প্যান বসেছে। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর পিয়ারের কাজ শেষ করার মধ্য দিয়ে সব পিয়ারের কাজ শেষে হয়ে গেছে। চলতি মাসেই ৩০তম স্প্যানও বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। আর বসে যাওয়া স্প্যানগুলোয় পুরোদমে কাজ চলছে। এখন এখানে দেশি-বিদেশি প্রায় দুই হাজার কর্মী কাজ করছেন।”
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২১ সালে মাঝামাঝি। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন।