শহরের বড়স্টেশন মাদ্রাসারোড এলাকার জেলে আবুল বাশারের জালে শনিবার বিকালে মাছটি ধরা পড়ে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এ দিন সন্ধ্যায় মাছটি চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বিক্রির জন্য আড়তে তোলা হয়। মাছটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সাড়ে ১৫ ফুট আর লেজের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ ফুট হবে বলে জানান জেলেরা।
আবুল বাশার বলেন, মেঘনা নদীর রাজরাজেশ্বর লক্ষ্মীরচরে মাছটি জালে আটকা পরলে আমরা আটজন জেলে মিলে সেটি টেনে নদীর পাড়ে আনি। পরে ট্রলারে করে এনে মাছটি মাছঘাটে বিক্রির জন্য তোলা হলে তা দেখতে শত শত লোক ভিড় করে। একে অনেকে ‘হাউস’ মাছ বলে জানালেও এটি মূলত ‘শাপলা পাতা’ মাছ।
“পরে ৫০০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির এই হাউস মাছটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। চাঁদপুর অবরুদ্ধ না হলে এই মাছটির মূল্যে আরো বেশি হত।”
বড়স্টেশন মাছঘাটের আড়তদার মো. কালাম গাজী বলেন, “এ মাছগুলো বিরল প্রজাতির। এরা সাধারণত নদী ও সাগরের মিলনস্থলে থাকে। বড় বড় নদীতেও কয়েক প্রজাতির এমন মাছ রয়েছে তবে তা খুবই কম।
মুনছুর বলেন, “লকডাউন না হলে মাছটির দাম আরও বেশি পড়ত। তবে যাই হউক-নগদ ৪০ হাজার টাকা দামে মাছটি কিনেছি। এখন এটি নারায়ণগঞ্জের আড়তদার রিপনের কাছে পিকআপ ভ্যানে করে পাঠিয়ে দিলাম।”
এ ব্যপারে চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী মৎস কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, “এ মাছগুলো নদী ও সাগরের সঙ্গমস্থলে থাকে। তবে এ দেশের বড় নদীগুলোতেও এদের ১২ থেকে ১৩টি প্রজাতি রয়েছে। স্থানীয়ভাবে একে শাপলা পাতা, শাকুশ, হাউস পাতা মাছও বলে থাকে।”