ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় রমজান মাসের প্রতি শনিবার এ হাট বসবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংগঠন ‘মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন।’
এ হাটে বিনামূল্যে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, আলু, ঢেঁড়স ও টমেটো, মুড়ি ও খেজুর আর তাজা মাছ বিতরণ করা হচ্ছে।
শনিবার ১৫০টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন রকম সবজি ও মাছ দিয়েছে তারা।
জাকির হোসেন বলেন, “ফ্রি সবজির হাট একটি চমৎকার উদ্যোগ। এর ফলে একদিকে যেমন অসহায় দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছেন, পাশাপাশি কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে তাদের কৃষি পণ্য বিক্রি করতে পারছেন।”
করোনাভাইরাসের জন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে হাটের কার্যক্রম পরিচালনা করেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
সংগঠনের সমন্বয়ক আজাহারুল ইসলাম পলাশ বলেন, “করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবারের রমজানে সামর্থ্যহীনদের জন্য ‘ফ্রি হাট কর্মসূচি’ চালু করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন দাতা ও প্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচিতে আর্থিক অনুদান দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সংগঠনটির কর্মসূচি কর্মকর্তা অনিক কুমার নন্দী জানান, ‘প্রতিদানের আশায় নয়, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যও নয়,’ ফ্রি হাটের দ্বিতীয় দিনে ১৫০ জন ক্রেতাকে বিনামূল্যে ১৪০ কেজি মাছ, ১৩০টি পানিলাউ, ১৩০টি মিষ্টি কুমড়া, ১৪০ কেজি ঢেঁড়স, ১৫০ কেজি আলু, ১৩০ কেজি মুড়ি, ৫০ কেজি খেজুর দেওয়া হয়েছে।
তবে অনেককেই শূন্য হাতে ফেরাতে হয়েছে যা ‘আমাদের মনোকষ্টের কারণ’ যোগ করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, স্বেচ্ছাসেবীদের ফ্রি সবজির বাজার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি।
এ হাটের যেকোনো সহযোগিতায় তাদের পাশে থাকবেন বলেও জানান মোখলেছুর রহমান।