শুক্রবার বিকালে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল চাল শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ চালে দাবিদার “মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
২৯ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলার মদনপুর কেওডালা এলাকায় অবস্থিত বন্ধ হায়দার নিট কম্পোজিট মিলের গুদামে অভিযান চালিয়ে ১২শ’ বস্তা চাল জব্দ করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুল্কা সরকার।
তবে এসব চাল মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ভুঁইয়া তার বলে দাবি করেন। তবে তিনি ওই চালের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বলে পরে ওই গুদাম সিলগালা করে দেন ইউএনও।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ওই সময় যুবলীগ নেতা জাবেদ ভুঁইয়া দাবি করেছিলে-তিনি ও ৮/১০ বন্ধু মিলে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ত্রাণ দেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে এ চাল কিনে এনেছিলেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সদর পুলিশ নারায়ণগঞ্জে চাল জব্দের খবরে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরের পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ওখানে ২৭শ’ বস্তা চাল চুরি হয়েছে। তাদের সন্দেহ এসব সম্ভবত ওই চালের একাংশ। এ অনুমানের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল বন্দর থানায় আসে। পরে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় মদনপুর ওই মিলের গুদামে গিয়ে তারা নিশ্চিত হন চাঁদপুর থেকে চুরি হওয়া ২৭শ’ বস্তা চালের একাংশ এগুলো।
ওসি রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “শুক্রবার বিকালে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল এসে তাদের চোরাই চাল হিসেবে শনাক্ত করেছে। যেহেতু চাঁদপুর থানায় ২৭ শ’ বস্তা চাল চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে।
“তাই ওই মামলায় যুবলীগ নেতা জাবেদ ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা আসামি হবেন।”
আদালতের আদেশে চালগুলো চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ নিয়ে যেতে পারবে জানিয়ে তিনি যোগ করেন, ওই চাল চুরির ঘটনার সঙ্গে ওই মিলের লোকজনও জড়িত বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে তারাও আসামি হবেন।