করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে অবরুদ্ধ অবস্থায় এই কর্মচারীরা বেতনভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজনদের নিয়ে ভীষণ বিপাকে পড়েছেন। তারা দ্রুত বেতন ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ মুথ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজাদুর রহমান জানান, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করা হয়। ওই সময় জেলা প্রশাসনের ১৬ কর্মচারী গোপালগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে যোগদান করেন।
“ওই সময় সংস্থাপন (জনপ্রশাসন) মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়কে এই ১৬ কর্মচারীকে বিচার বিভাগে আত্মীকরণ করতে বলে। কিন্তু এই ১৬ কর্মচারীর আত্মীকরণ না হওয়ায় তারা উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন।”
পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে তাদের বিচার বিভাগে আত্মীকরণের আদেশ দেয় বলে আজাদুর রহমান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সেটা বিচারাধীন আছে।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সাত কর্মচারীর বেতন-ভাতা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে হয়ে আসছিল।
“কিন্তু গত বছরের অক্টোবর থেকে একজনের (জারিারক) এবং নভেম্বর থেকে ছয় বেঞ্চ সহকারীর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
এই সাতজনের একজন জারিকারক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিন বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। করোনা সংক্রমণের মধ্যে এ সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। কেউ টাকা ধার দিচ্ছে না। দোকান থেকে বাকিতে ভোগ্যপণ্য কিনতে পারছি না।”
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের মধ্যে তাদের সব নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন ডিসি অফিসে ফিরে এসেছেন। সাতজন এখনও ফিরে আসেনি।
“তাদের পদ শূন্য হয়নি। তাই নতুন লোক নিয়োগ দিতে পারছি না। ডিসি অফিসের কাজের অসুবিধা হচ্ছে। তারা ডিসি অফিসে যোগ দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ফিরে না আসলে তাদের পেনশন নিয়েও জটিলতা তৈরি হবে।”