বুধবার এ লকডাউনের ঘোষণা স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.নাসিরিন বানু জানান, উপজেলায় পাঁচজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় এবং পাশের নন্দিগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলাতেও করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সিংড়া উপজেলাকে বুধবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন তিনি।
“এর ফলে উপজেলা থেকে কেউ অন্য কোথাও বা অন্য জায়গা থেকে সিংড়ায় কেউ ঢুকতে পারবে না। পরিবহন চলাচালেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।”
তিনি ইতোমধ্যে শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীদের বাড়িতে গিয়ে লালপতাকা ও বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আইন শৃংক্ষলারক্ষাকারি বাহিনীকে ওইসব বাড়ির প্রতি নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দুই স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বুধবার দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালে কর্মরত ১৮ জন চিকিৎসকসহ ৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, “নমুনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে আসার আগে প্রায় ছয়দিন ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তারা অন্যদের সাথে কাজ করেছেন, প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
“তাই চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।”
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে যদি হাসপাতাল চালানোর মতো জনবল সরবরাহ করে তাহলে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “ততক্ষণ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। ”