নীলফামারীতে দুপক্ষের ঝগড়ায় প্রাণ গেল তরুণের

নীলফামারীর ডোমারে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক তরুণের প্রাণ গেছে।  

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2020, 12:52 PM
Updated : 29 April 2020, 12:52 PM

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন রহমানের (২১) মৃত্যু হয়।

সুমন গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি মাস্টারপাড়া গ্রামের হারুন অর রশীদের ছেলে ও গোমনাতি কলেজের ছাত্র ছিলেন।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে ১৪ জনকে আসামি করে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সুমনের বাবা। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করে পুলিশ।

ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের ১ নম্বর গোমনাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফেরা মাস্টারপাড়া গ্রামের চার ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। মঙ্গলবার বিকালে স্কুলপাড়ার মালেক নামের এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সুরসুরি ব্রিজ এলাকায় ক্যাম্পপাড়ার রাকিব, মোরসালিন, সুলতান ও নজরুলসহ কয়েকজন যুবক ওই রাস্তা দিয়ে হাটতে বাঁধা দেয় মালেককে। এতে ওই যুবকদের সঙ্গে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে মালেকের।

“পরে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা থামাতে হিয়ে সুমন আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সুমনের।”

সুমনের চাচাতো ভাই স্কুল শিক্ষক আহসান হাবিব বলেন,“দুই পক্ষের ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনার সময় চাচা ও চাচাত ভাই সুরসুরি ব্রিজ সংলগ্ন মরিচ ক্ষেতে কাজ করছিল। দুই পক্ষের ঝগড়া ও হাতাহাতি দেখে আমার ভাই ওই ঝগড়া থামাতে যায়। এটি বুঝেও রাকিব প্রথমে সুমনকে একটি গাছের ডাল দিয়ে মাথায় আঘত করে। এরপর মোরসালিন, সুলতান, নাজিরুলসহ আরও অনেক তাকে মারধর করে।”

ওসি বলেন, এ ঘটনায় নাজিরুলের স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে (২৫) আটক করা হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুমনের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।