উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসেন জানান, রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি উপজেলার জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মোবরক বলেন, “কয়েকদিন আগে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ওই বৃদ্ধের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর খবর আমাদের নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়াল।”
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মার যাওয়া সবাই ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট ১০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চারজন। আক্রান্তদের মধ্যে একই পরিবারের চারজনসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক, দুইজন স্বাস্থ্য সহকারী, দুইজন চিকিৎসকের সহকারী, একজন কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা প্রদানকারী, উপজেলা দুই থানার দুই পুলিশ সদস্য (এএসআই) ও একজন কারারক্ষী রয়েছেন।
“তবে আরও কয়েকজন কারারক্ষী আক্রান্ত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় নি।”