মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জোতাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহিন (৮ মাস ১৪ দিন) ওই গ্রামের দিনমজুর আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে।
এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী মুক্তা পারভীনকে (২১) আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটির চাচা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তার চাচাতো ভাই মামুন স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়িতে রেখে ধান কাটার জন্য রায়গঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরে তিনি নিজেও তারাবি নামাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে যান। ওই সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না।
“রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তা তার ছেলে মাহিনের মুখে টেপ পেঁচিয়ে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির অন্য লোকজন মুক্তার ঘরে গিয়ে মাহিনের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।”
পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, আড়াই বছর আগে মহারাজপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পালিত মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করে মামুন। বিয়ের এক বছর পরই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে মুক্তা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়।
“এরপর শিশুটির জন্ম হলে স্থানীয় মাতব্বরদের সহায়তায় আবারও তাদের বিয়ে পড়ায় স্বজনরা। এর কিছুদিন পর আবারও তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।”
শাহজাদপুর থানার এসআই শাহজাহান আলী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির গলাকাটা লাশ তারা উদ্ধার করে তারা থানায় নিয়ে যান। পরে মুক্তাকে আটক করতে বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। ভোরে একটি ধানক্ষেত থেকে মুক্তাকে আটক করা হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন,“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তা তার সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি নিজের সন্তানকে হত্যা করেছেন।”
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ববলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।