গাছ কাটায় সমালোচনা: রাবি প্রশাসন জানাল ফের পামই লাগাবে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরের সড়কের ‘পঞ্চাশ বছরের পুরোনো’ পাম গাছগুলো কেটে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আবার সেখানে নতুন করে পাম গাছ লাগানোর কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2020, 04:14 PM
Updated : 28 April 2020, 04:14 PM

ফেইসবুকে এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমালোচনা করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি ছত্রাক আক্রান্ত হওয়ায় এসব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিন ধরে শ্রমিক লাগিয়ে ওই স্থানের ৩৬টির বেশি গাছ কাটা হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ কে আজাদ তার ফেইসবুকে গাছ কাটার কয়েকটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, “করোনা তোদেরকেও বাঁচতে দিল না!! আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের তথা প্রশাসন ভবনের সামনে সারি সারি দাঁড়ানো পাম গাছগুলি কেটে ফেলা হলো!! জানিনা তাদের কি অপরাধ ছিল!! নাকি তারা করোনা প্রতিরোধে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল!! বহু বছর ধরে কালের স্বাক্ষী এরা।

“আর কোনো দিন তোদের দেখা হবে নারে!! ক্ষমা করিস তোরা!”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কে এ এম সাকিব ফেইসবুকে লিখেছেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের গাছ কাটার যৌক্তিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নাইবা তুললাম। প্রশ্ন হল, যে মুহূর্তে করোনা পরীক্ষার ল্যাব নিয়ে ভাবার কথা ঠিক সে মুহূর্তে আমরা গাছ কাটা নিয়ে ব্যস্ত কেন?

“অবকাঠামোগত বিষয়ে এত গুরুত্ব, সৌন্দর্যবর্ধনে এত গুরুত্ব, আর গবেষণা? একটা বিশ্ববিদ্যালয় কোন পার্ক নয় যে সেটা নিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে এত টাকা ঢালতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা জানান, প্রায় ৫০ বছর আগে ‘ফিস টেইল পাম’ নামের গাছগুলো প্রধান ফটকের সামনে লাগানো হয়েছিল।

“দুই বছর আগে থেকে গাছগুলোরপাতা শুকিয়ে যেতে শুরু করে। ডাল-পাতায় দেখা দেয় ছত্রাক। যা একটি গাছ থেকে আরেক গাছে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় থেকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে যত্ন নিয়েও তা থামানো যাচ্ছিল না। পরে যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়।

ওই জায়গায় আগামী জুন মাসের প্রথম দিকে ‘একই প্রজাতির বোতল পাম’ গাছ লাগানো হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উপ-উপাচার্য।

“এ কারণেই এখনই গাছগুলো কেটে ওই নতুন গাছগুলো লাগানো জন্য জমি তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন ওই গাছগুলোর অর্ডার দেওয়া হয়েছে।”

কাটা গাছগুলো বিক্রির জন্য এখনও কোনো টেন্ডার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।