সোমবার রাত ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার এ তথ্য জানান।
আক্রান্তরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ ফেরত হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের বাসিন্দা (৪৫) ও তার ছেলে (২৪), হরিপুরের জীবনপুরের তারবাগান গ্রামের তরুণ (১৯)। ঢাকার মিরপুর ফেরত পীরগঞ্জের জাবরহাট ইউনিয়নের খেরপাড়া গ্রামের তরুণ (১৯) ও একই ইউনিয়নের চন্দরিয়া আমীরপাড়া গ্রামের যুবক (২৫) এবং রংপুর ফেরত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামের যুবক (২৪)।
আক্রান্ত ৬ জন ব্যক্তির ৫টি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এসব গ্রামে কেউ ঢুকতে পারবে না, কেউ বের হতেও পারবে না।
এরআগে ঠাকুরগাঁও সদরে ১ জন, হরিপুর উপজেলায় ৩ জন, রাণীশংকৈল উপজেলায় ২ জন, পীরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে ২ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, “দেড় সপ্তাহ আগে গোপনে নারায়ণগঞ্জ থেকে হরিপুর উপজেলায় একই পরিবারের বাবা ও ছেলে এবং আরেক গ্রামে এক তরুণ বাড়িতে ফিরে আসেন।
“একই সময় ঢাকার মিরপুর এলাকার থেকে পীরগঞ্জে এক গার্মেন্টেস কর্মী ও এক যুবক আসেন এবং রংপুর থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বাড়িতে আসেন আরেক যুবক।”
সিভিল সার্জন জানান, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার মিরপুর ও রংপুর থেকে ফেরত ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। খবর পেয়ে ২১ এপ্রিল বাড়িতে গিয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল টিম। এরপর নমুনা পরীক্ষা করার জন্য সেগুলো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরীক্ষা শেষে ওই ৬ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্ত ৬ জনকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল তাদেরও তথ্য সংগ্রহ চলছে, তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করবে পরীক্ষা করা হবে বরে জানান তিনি।
ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, জেলায় ৫২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুরে পাঠানো হয়েছে, এরমধ্যে ৩৪২ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নির্দেশা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ করেন সিভিল সার্জন।