তাই বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার প্রতিদিন শহরের পথ-কুকুরদের জন্য খাবার বিলিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এবং ডাস্টবিনে উচ্ছিষ্ট খাবার কমে যাওয়ায় শহরের কুকুরগুলো না খেয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছিল। কেউ দোকান থেকে কিছু কিনলেই খাবারের আশায় পিছু নিচ্ছিল কুকুরগুলো।
“ডাস্টববিনের ময়লা খাবার খেয়েই থাকত, এখন কোথাও খাবার না পেয়ে এসব পথের কুকুর অসহায় হয়ে পড়েছে।”
এ অবস্থায় কাউন্সিলর সিপার প্রতিদিন লোক দিয়ে শহরের কুকুরদের রান্না করা খাবার বিলির ব্যবস্থা করেন। রাত ৮টার পর এ খাবার পিক-আপ ভ্যানে করে তার লোকজন শহরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কুকুরদের দিয়ে আসেন।
“খাবারের ভ্যান এলে কুকুরগুলো আনন্দে লেজ নড়াতে থাকে। তারপর খাবার পেলে খেয়ে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করে আনন্দে।”
খাবার আগে চুপ করে শুয়ে থাকে; ডাকাডাকি করে না।
সিপার আল বখতিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মানুষ তো কারো কাছে চাইতে পারে। কুকুর কি তা পারে? ওরা কি না খেয়ে মরবে? মানুষও বাঁচুক, সাথে সব পশু-পাখিও। পাখিরা খেলে ওদেরও দিতাম।”
কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার আরও বলেন, “২৭ মার্চ থেকে নিজ এলাকার কর্মহীন মানুষের পাশাপাশি বগুড়া পৌর সভার ২১টি ওয়ার্ডে দিনে কুকুর ও রাতে কাকের জন্য প্রতিদিন খাবার দিয়ে যাচ্ছি। কাকের খাবার দেওয়া হয় এডওয়ার্ড পার্কের ডাস্টবিন, রাজা বাজার, বকসি বাজারসহ কয়েকটি জায়গায়।”
প্রতিদিন ২৫ কেজি চাল, পাঁচ কেজি ব্রয়লার মুরগি, পাঁচ কেজি ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয় বলে তিনি জানান।