কাচ দিয়ে ঘেরা এই চেম্বারে থেকে চিকিৎসকরা সামনের দুটি ছিদ্র দিয়ে গ্লাভস পরা হাত বের করে রোগী দেখবেন। রক্তচাপ নির্ণয় ও থার্মাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করবেন। কোনো রোগীর কোভিড-১৯ উপসর্গ থাকলে তাকে করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে পাঠানো হবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, আউটডোরে ও জরুরি বিভাগে আসা রোগীরা এখান থেকে সেবা নেবেন। যাদের ভর্তি হওয়া প্রয়োজন তাদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। তবে জখম হওয়া রোগীরা সরাসরি জরুরি বিভাগে গিয়েই চিকিৎসা নেবেন। তাছাড়া এই চেম্বার থেকে সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা যাবে নিরাপদে থেকে।
“করোনাভাইরাস বহন করে আসা কোনো রোগীর মাধ্যমে যাতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স বা অন্যরা ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন এবং অন্য রোগীরাও যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেজন্য এ চেম্বার চালু করা হয়েছে। এতে আমরা নিরাপদ থেকে চিকিৎসাসেবা দিতে পারব বলে আশা করছি।”
সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে কথোপকথন হবে বলে তিনি জানান।
কালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, কালিয়া পৌরসভার মেয়র ফকির মুসফিকুর রহমান লিটন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন।
মেয়র ফকির মুসফিকুর রহমান লিটন বলেন, “নড়াইল-১ (কালিয়া) আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি ভাইয়ের নির্দেশে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই চেম্বার নির্মাণ করিয়েছি। এতে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ই নিরাপদ থাকতে পারবেন।”