রোববার এসব শ্রমিককে ফেরিতে উঠতে না দেওয়ার ব্যাপারে কঠোন অবস্থান নেয় প্রশাসন।
দুপুরে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনার বাইরে কিছু করার নেই। ফেরিতে যাত্রী যেতে দেওয়া হবে না। সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
“যেসব শিল্প কারখানা খুলেছে ওইসব শিল্প কারখানার মালিকরাই তাদের শ্রমিকদের নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।”
সকাল থেকেই ভোলার ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে কয়েকশ শ্রমিক অবস্থান নেন নদী পারাপারের জন্য ।একদিকে, লঞ্চ বন্ধ, অন্যদিকে তাদের ফেরিতে উঠতে না দেওয়া হয়নি। যাওয়ার জন্য লঞ্চ, সি-ট্রাক কিংবা ফেরিতে যেতে না পেরে এসব শ্রমিক ইলিশা ঘাটে যাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকেন।
রোববার থেকে দেশের বেশ কিছু তৈরিপোশাকসহ শিল্প –কারখানা সীমিত আকারে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ঘাটে অবস্থান নেওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, করোনাভাইরাসের কারণে শিল্পকারখানা বন্ধ কিছু কিছু কারখানা রোববার থেকে আবারও চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেজন্য তারা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ঘাটে এসেছে।
কিন্তু সব ধরনের ‘নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় তারা কর্মস্থলে যেতে পারছেন না।’
প্রশাসন যদি তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে না করে তাহলে তারা খুবই বিপদে পড়বে বলে জানান তারা।
সময় মতো কর্মস্থলে যেতে না পারলে তাদের চাকরিতে যোগদানের ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। মালিকরা ‘বেতন কেটে রাখবে।’ ছেলে-সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে বলেও জানান শ্রমিকরা।