বিজেএমসির খুলনা অঞ্চলের সমন্বয়কারী মো. বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, আটটি কারখানা রোববার ভোর ৬টায় চালু করার পর বেলা ২টা পর্যন্ত উৎপাদন কার্যক্রম চালানো হয়।
কারখানাগুলো হল ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল, ইস্টার্ন জুট মিল ও জেজেআই জুট মিল।
বনিজ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, কার্পেট মিলটি বাদে অন্য যে আটটি মিল চালু করা হয়েছে সেখান থেকে খাদ্যবিভাগ ও বিএডিসিকে জরুরি বস্তা সরবরাহ করা হবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী বস্তা তৈরি করে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি করা যাবে। এতে বকেয়া পরিশোধ করা সহজ হবে।
এই মুহূর্তে বিদেশে পাটপণ্য বিক্রির সুযোগ নেই বলে তিনি জানান।
সারা দুনিয়ায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই সেরা উপায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। এ কারণে সরকার গত ২৫ মার্চ প্রায় সবকিছু বন্ধ করে সবাইকে ঘরে থাকতে বলে।
এতে বেকার হয়ে পড়ে কোটি কোটি লোক। এই পরিস্থিতিতে রোববার সরকার-বেসরকারি কিছু কারখানা চালু হয়েছে।
পাট কর্মকর্তা বনিজ উদ্দিন বলেন, “মিলগুলোয় সতর্কভাবে দূরত্ব বজায় রেখেই শ্রমিকরা কাজ করেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে শুধু মিল কলোনিতে অবস্থানরত শ্রমিকরাই কাজ করছেন।”