শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের বাড়িতে তার মৃত্যু হয় বলে গোপালপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. আশরাফুজ্জামান আজাদ জানান।
আসাদুজ্জামান তিনবার জাতীয় সংসদে টাঙ্গাইল-২ আসনের ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জাতি একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাকে হারাল।”
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯৬ সালের তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচিত তিনি সংসদে টাঙ্গাইল-২ আসনের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।
জাতীয় সংসদের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমটিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন আসাদুজ্জামান। তার মেয়ে অপরাজিতা হক বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক শোকবার্তায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আসাদুজ্জামান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রয়াত এই আওয়ামী লীগ নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী কাদের।
আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল জানান, তার বাবার মরদেহ ঢাকা থেকে গোপালপুরের হেমনগর ইউনিয়নের নারচী গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রোববার ফজরের নামাজের পর সংক্ষিপ্ত আকারে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।