শুক্রবার সীমান্তে এবিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ এ আশ্বাস দেয় বলে বিজিবির রংপুর সেক্টরের মেজর মুজাহিদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী-চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত পথে ‘অজ্ঞাত পরিচয়ের মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক ভারতীয় নাগরিককে ‘পুশইন করার ঘটনায়’ বিজিবি ও স্থানীয় জনতা বাধা দিলে বিএসএফ এলোপাতাড়ি রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি ক্যাম্পের এক সদস্যসহ স্থানীয় দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
মেজর মুজাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টায় বুড়িমারী জিরোপয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক শুরু হয়ে আড়াইটায় শেষ হয়।
“বৈঠকে বিএসএফ হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন বিএসএফ কর্মকর্তারা।”
ভারতের পক্ষে ছিলেন বিএসএফের কোচবিহার ডিআইজি শ্রী মহেন্দ্র কুমার শাহারন, ১৪৮ বিএসএফের সিও সাহিত্য মুখার্জি এবং বিএসএফ সদর দপ্তরের সিও বানাম্বর শাহ।
বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক ব্যক্তিকে পুশইনের চেষ্টা করলে বিজিবি ও গ্রামবাসীরা বাধা দিলে বিএসএফ পিছু হটে। পরে ৫০-৬০ জনের বিএসএফের একটি দল ফের পুশইনের চেষ্টা চালালে বিজিবি ও স্থানীয়রা ফের বাধা দেয়। তখন বিএসএফ সাত রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
বিএসএফের রাবার বুলেটে বিজিবি সদস্য খোকন মিয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দা বুড়িমারী এলাকার ফিরোজা বেগম, আজিজুল ইসলাম, আরেফ হোসেন ও রশিদুল ইসলাম আহত হন।