চাল: পটুয়াখালীর পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শাতে চিঠি

পটুয়াখালীতে জেলে ও দুস্থদের জন্য ভিজিডি ও ভিজিএফ-র দেড়শ মেট্রিকটন চাল নির্ধারিত সময়ে বিতরণ না করায় পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2020, 04:37 PM
Updated : 23 April 2020, 04:37 PM

বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হেমায়েত উদ্দিন তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছেন।

ওই পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান হলেন, নাজিরপুর ইউপির ইব্রাহিম ফারুক, কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন লাভলু, কালাইয়া ইউপির এ কে এম ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির হোসেন মোল্লা ও তার ছোট ভাই চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা, সূর্যমনি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।

অন্যদিকে বিতরণ না করে খাদ্য গুদামে রাখার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হেমায়েত উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নির্ধারিত সময়ে জেলে ও দুস্থ নারীদের ভিজিডি ও ভিজিএফ-র একশ ৫০ দশমিক সাত পাঁচ মেট্রিক টন চাল বিতরণ না করে খাদ্য গুদামে মজুদ রাখা হয়।

“তাই তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে।”

আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে বলেন তিনি।

তিনি আরো জানান, বুধবার জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম কালাইয়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যান। তখন বিষয়টি তার নজরে আসে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মজুদ করা একশ ৫০ দশমিক সাত পাঁচ মেট্রিকটন চালের মধ্যে ১০৫ মেট্রিক টন কেশবপুর ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ-র চাল এবং ৩০ মেট্রিক টন চাল নাজিরপুর ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ-র চাল। আর পাঁচ দশমিক আট দুই মেট্রিক টন ভিজিডি-র চাল সূর্যমনি ইউনিয়নের দুস্থ নারীদের, ছয় দশমিক দুই চার মেট্রিক টন কালাইয়া ইউনিয়নের দুস্থদের ভিজিডির চাল এবং ৩ দশমিক ছয় নয় মেট্রিক টন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দুস্থদের ভিজিডির চাল ছিল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চালগুলো বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ডিও যথা সময়ে দেওয়া হয়েছে।”