কক্সবাজার কারাগারে ‘লেনদেন নিয়ে’ কয়েদিদের মধ্যে সংঘর্ষ

‘টাকার লেনদেন নিয়ে’ কক্সবাজার কারাগারের দু'গ্রুপ কয়েদির মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কারা অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. মোকাম্মেল হোসেন।

এতে উভয়পক্ষের চারজন আহতকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে আহতদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

এ সংঘর্ষে জড়িতরা আত্মসমর্পণকারী দুই ইয়াবা কারবারি শাহজাহান আনসারি ও একরামুল হকের সমর্থক। শাহজাহান কক্সবাজার শহরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ইসমাপুরের বাসিন্দা এবং একরামুল টেকনাফ পৌরসভার মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা।

কয়েদিদের উদ্ধৃত করে জেল সুপার মোকাম্মেল বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার ‘জামিনের জন্য’ নেওয়া টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে কারা অভ্যন্তরে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি শাহজাহান আনসারি এবং একরামুল হক সমর্থিত উভয়পক্ষের ২০/৩০ জন কয়েদি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।”

খবর পেয়ে কারাগারের নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি।

"কয়েদি আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি একরামুল হকের অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আরেক আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি কয়েদি শাহজাহান আনসারি মামলায় জামিন নিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকা নিয়েছে কিন্তু টাকা নেওয়ার বিষয়টি শাহজাহান আনসারি এখন অস্বীকার করছে।"

জেল সুপার বলেন, " মামলার জামিনের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করার বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েদিদের দু'গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।"

গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ইয়াবা কারবারিদের প্রথম দফার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে শাহজাহান আনসারি এবং চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় একরামুল হক আত্মসমর্পণ করে। তারা ইয়াবা মামলায় এখন কারাগারে রয়েছেন বলে জানান এই কারা কর্মকর্তা।

তবে অভিযোগ রয়েছে-কারাগারে থাকলেও তাদের ইয়াবা ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে এবং ইয়াবার চালানের টাকার লেনদেনের বিরোধে এ সংঘর্ষ।

তবে তবে কারা কর্মকর্তা মোকাম্মেল জানান, ইয়াবা লেনদেনের টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েদিদের দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত নন।