বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার জানান, আগের দিন পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ওই যুবককে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
গত ১১ এপ্রিল উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামের ২২ বছরের ওই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তাকে যুবককে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, “গত ১৭ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুবকের নমুনা আবার সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। এজন্য তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।”
সিভিল সার্জন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই যুবককে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আমরা তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখব। তার পরিবারের পাঁচজন সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল, তবে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।“
এদিকে বুধবার তৃতীয় বারের মত ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হয়েছে। নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সে বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকবে বলে সিভিল সার্জন।
ঠাকুরগাঁওয়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সাতজন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে একজন সুস্থ্ হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলা থেকে ৪৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হয়েছে এবং ২৭৯ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে।